মৃত্যুর পর আমরা কোথায় যাব?
আজকে আমি খুব খারাপ স্বপ্ন দেখলাম।আমি দেখলাম একটি ট্রাক আমাকে ধাক্কা দিয়েছে এবং আমি সাথে সাথে মারা গেলাম।এই স্বপ্ন দেখার পর আমি এতটাই ভয় পেয়েছিলাম যে আমি জেগে উঠেছিলাম এবং তখনই আমি বুঝতে পারি যে এটি একটি খারাপ স্বপ্ন ছিল।
সেই স্বপ্নটা আমার কাছে এতটাই বাস্তব ছিল যে ঘুম থেকে ওঠার পরও আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না যে এটা একটা স্বপ্ন মাত্র।সেদিন অনেকবার ভেবেছিলাম সত্যি মরে গেলে কোথায় যাবো? আমি কি স্বর্গে যাব নাকি নরকে? আমি কি মৃত্যুর পর আলোতে যাব নাকি আমি একটি তারা হয়ে যাবো?
তারপর বাস্তবতা কি এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে লাগলাম আর এই সব প্রশ্নের উত্তর পেলাম। আপনিও যদি মৃত্যুর পরে কোথায় যাব এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন, তাহলে এই লেখাটি পড়তে থাকুন।
মৃত্যুর পর আমি কিভাবে স্বর্গে যেতে পারি?
মানুষ শুধু শরীর নয়, দেহ, প্রাণ (অর্থাৎ আমাদের চিন্তাভাবনা, অনুভূতি, সিদ্ধান্ত গ্রহণ) এবং আত্মা এবং যখন একজন মানুষ মারা যায় তার দেহ মাটির সাথে মিশে যায় কিন্তু তার আত্মা বেঁচে থাকে এবং তারপর তার আত্মা হয় স্বর্গে যায় বা নরকে যায়। স্বর্গে যাওয়া আর নরকে যাওয়া দুটোই মানুষের হাতে।
- বাইবেলে রোমীয় বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়ে লেখা আছে যে যারা ঈশ্বরকে জানে না তাদের বিচার করা হয় মানুষের বিবেক অনুসারে, তার চিন্তাধারা অনুসারে যা তাকে দোষী বা নির্দোষ বলে মনে করে।সেই মানুষটিকে তার বিবেকের ব্যবস্থা অনুসারে বিচার করা হয়।
- আর যদি একজন মানুষ ঈশ্বরের প্রদত্ত আইন অর্থাৎ (আদেশ) বিশ্বাস করে, তাহলে ঈশ্বরের আইন অনুযায়ী তার বিচার হয়।আর ঈশ্বরের বিধান অনুসারে যদি আপনি ধার্মিক হন তাহলে আপনি স্বর্গে যাবেন এবং আপনি যদি ঈশ্বরের আইনে বিশ্বাসী না হন তাহলে আপনি দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে মৃত্যুর পর মানুষের আত্মা নরকে যায়।
- এবং তৃতীয় জিনিস যা নির্ধারণ করে আপনি স্বর্গে যাবেন নাকি নরকে যাবেন তা হল, নতুন চুক্তি অনুসারে: {রোমীয় ৮:১-২ এমন লেখা আছে (তাই যাঁরা খ্রীষ্ট যীশুতে আছে তারা বিচারে দোষী সাব্যস্ত হবে না৷ কারণ খ্রীষ্ট যীশুতে আত্মার য়ে বিধি-ব্যবস্থা জীবন আনে, তা আমাকে মুক্ত করেছে সেই পাপের ব্যবস্থা থেকে যা মৃত্যুর কারণ হয়৷এখন তাহলে আত্মার ব্যবস্থা কি?